
ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে অন্তত ১৬ জনেরও বেশি ইসরায়েলি পাইলট নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রাহিম-সাফাভি।
এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, যুদ্ধের প্রথম দিকে ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ও গোয়েন্দা ব্যবস্থায় কিছু দুর্বলতা প্রকাশ পেলেও দ্রুত তা সংশোধন করা হয়। তার ভাষায়, ‘প্রথম দুই-তিন দিনে কিছু ঘাটতি ছিল, কিন্তু চতুর্থ দিন থেকে ভারসাম্য পাল্টে যায় এবং শেষ পর্যায়ে এসে ইরান পূর্ণ আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে।’
রাহিম-সাফাভি দাবি করেন, ইসরায়েল তাদের ঘোষিত কোনো লক্ষ্যই অর্জন করতে পারেনি—না ইরানের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে, না গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে। বরং ইরান তার উদ্দেশ্য পূরণে সফল হয়েছে।
তিনি আরও জানান, অভিযানে শত্রুর কমান্ড সেন্টার, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও টার্মিনালে হামলা চালানো হয়, যা ইসরায়েলকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়। পাশাপাশি শত্রুপক্ষকে ৬০০–৬৪০টিরও বেশি আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে হয়েছে, ফলে তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
রাহিম-সাফাভির ভাষায়, “আকাশ প্রতিরক্ষা, রাডার সিস্টেম, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমানবাহিনীর কিছু ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হলেও নতুন কমান্ডার নিয়োগ ও পুনর্গঠনের মাধ্যমে আমরা দ্রুত সক্ষমতা পুনরুদ্ধার করছি। ইরান শুধু সামরিক ক্ষমতা পুনর্গঠনই করবে না, বরং আকাশ ও মহাকাশসহ সবক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক শক্তি আরও বাড়াবে।”
তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি আবারও শত্রুপক্ষ আগ্রাসী পদক্ষেপ নেয়, তবে ইরান আগের চেয়েও শক্তিশালী জবাব দেবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৩ জুন বিনাউসকানিতে ইরানে ইসরায়েলি হামলার পর এই সংঘাত শুরু হয়, যা টানা ১২ দিন স্থায়ী হয়। এতে অন্তত ১,০৬৪ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও সাধারণ মানুষও ছিলেন। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম