
শুরুতে বড় স্কোর গড়ার ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের ব্যাটিং বিপর্যয় দেখল পাকিস্তান। দলটি নির্ধারিত ওভারের আগেই মাত্র ১৪৬ রানেই অলআউট হয়ে গেছে। বল বাকি ছিল আরও ৫টি।
ইনিংসের শুরুতে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি সাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান দারুণ সূচনা এনে দিলেও, মিডল অর্ডারে দ্রুত উইকেট হারানোর ফলে রানের গতি কমে আসে। একপর্যায়ে মনে হয়েছিল তারা একটি শক্তিশালী ও চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিতে সক্ষম হবে। কিন্তু, বোলারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মুখে শেষ দিকের ব্যাটাররা দাঁড়াতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে পাকিস্তানের ইনিংস ১৪৬ রানেই থেমে যায়।
আজ রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দেখে শুনে খেলতে থাকেন শাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের রূপ পরিবর্তন করেন ফারহান। প্রতি ওভারে বাউন্ডারি মেরে রান তুলতে থাকেন তিনি।
দুই ওপেনারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে উইকেট না হারিয়ে ৪৫ রান তুলেছে পাকিস্তান। ৩৫ বলে নিজের ফিফটি তুলতে নেন ফারহান। তবে দশম ওভারের তৃতীয় বলে বরুণকে বিশাল ছক্কা মেরে পরেই বলে ক্যাচ আউট হন এই পাক ওপেনার। ৩৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি।
এরপর দলের হাল ধরেন ফখর জামান ও সাইম আইয়ুব। দুজনের ব্যাটে ভর করে ১২ ওভারেই দলীয় সেঞ্চুরি তুলে নেয় পাকিস্তান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি সাইম। ১১ বলে ১৪ রান করে বুমরাহ হাতে ক্যাচ তুলে দেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। দুই বল পরে মোহাম্মদ হারিস ডাক আউট হলে ছন্দ হারায় পাকিস্তান।
তবে অপর প্রান্ত থেকে লড়াই করতে থাকেন ফখর জামান। কিন্তু ফিফটি তুলতে পারেননি তিনি। ৩৫ বলে ৪৬ রান করে বরুণকে ব্যাক টু ব্যাক বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন তিনি। এরপর ২ বলে ১ রান করে হুসাইন তালাত ও ৭ বলে ৮ রান করে সালমান আউট হলে পাকিস্তানের উপর চাপ তৈরি করে ভারত।
আর এই চাপেই পিষ্ট হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি (০), ফাহিম আশরাফ (০) ও ফাহিম আশরাফ। শেষ দিকে হারিস রাউফ ৬ রানে এবং মোহাম্মদ নাওয়াজ ৬ রানে আউট হলে ৫ হাতে থাকতেই অলআউট হয় পাকিস্তান।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন কুলদ্বীপ যাদব। এ ছাড়াও অক্ষর প্যাটেল ও বরুণ চক্রবর্তী দুটি করে উইকেট শিকার করেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম