
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজনৈতিক বিষয়ক সহকারী মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দূত লানা নুসেইবে বলেছেন, শুধু ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ইসরায়েলি-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাপ্তি আনতে পারে। তিনি বলেন, পশ্চিম তীর দখলের চেষ্টা হবে ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের সম্পর্ক স্থাপনের ‘রেড লাইন।’
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।
লানা নুসেইবে ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর সংযুক্তির প্রস্তাব নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সতর্কবার্তা পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “বিশ্ব বর্তমানে জাতীয় সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে, যা একসাথে মিলে অগ্রগতি ও উন্নয়নের ভিত্তি ধ্বংস করছে।”
তিনি বলেন, “গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীর থেকে হাজার হাজার সাধারণ মানুষকে স্থানান্তরিত করার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।”
এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের পশ্চিম তীর সংযুক্তির হুমকি নিন্দা জানিয়েছিল। পাঁচ বছর আগে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা দেশটি এ মাসের শুরুতে জানায়, যে কোনো সংযুক্তির চেষ্টা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের “রেড লাইন” হিসেবে গণ্য হবে।
নুসেইবে বলেন, যে কোনো সম্ভাব্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে কোনো উগ্রবাদ বা সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত উপাদান থাকতে পারবে না এবং অস্ত্র ব্যবহার সীমিত থাকবে কেবল সামরিক উদ্দেশ্যে।
তিনি এ মাসের গোড়ার দিকে কাতারের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের “অবিবেচ্য মোবিলাইজেশন”-কেও নিন্দা জানিয়েছেন। গাজায় হামাসের আলোচকরা যাতে লক্ষ্য হয়েছিল, সেই হামলাকে কাতারের “জাতীয় নিরাপত্তা, আরব অঞ্চলের নিরাপত্তা এবং মৌলিক আন্তর্জাতিক নীতির প্রতি স্পষ্ট অবজ্ঞা” হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের মূল দাবি তুলে ধরে নুসেইবে বলেন, অবিলম্বে ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলের অবরোধ শেষ করা, হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র গ্রুপের হোস্টেজ মুক্তি এবং মানবিক সাহায্য দ্রুত ও বাধামুক্তভাবে সরবরাহ করা জরুরি।
তিনি বলেন, “সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজায় সবচেয়ে বড় সাহায্য প্রদানকারী হিসেবে তার ভূমিকা চালিয়ে যাচ্ছে। সীমাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও আমরা সাহায্য পৌঁছে দিতে থাকবো।”
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম