২০২২ সালে তালেবান সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পর আফগানিস্তানে আফিম চাষ ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়েছে। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর এক জরিপে জানিয়েছে, গত বছরের তুলনায় আফিম পপি চাষের মোট জমি ২০ শতাংশ কমে গেছে - একই সময়ের মধ্যে আফিমের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে ৩২ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তান একসময় বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি আফিম উৎপাদন করত। ইউরোপের বাজারের ৯৫% হেরোইন ছিল আফগান আফিম থেকে তৈরি।
যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত সরকার হটিয়ে ক্ষমতা দখলের পর তালেবানরা ২০২২ সালের এপ্রিলে আফিম নিষিদ্ধ করে। তারা যুক্তি দেয়, এটি ক্ষতিকারক এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের পরিপন্থী।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, 'গুরুতর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ' সত্ত্বেও বেশিরভাগ কৃষক এই নিষেধাজ্ঞা পালন করে চলেছেন।
তবে দেশটিতে লাভজনক বিকল্পের অভাব, সীমিত কৃষি উৎপাদন এবং প্রতিকূল জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে ৪০% এরও বেশি কৃষিজমি পতিত রয়ে গেছে।
এই বছর আফিম পপি চাষের আওতায় মোট ১০ হাজার ২০০ হেক্টর জমি ধরা হয়েছে, যার বেশিরভাগই দেশের উত্তর-পূর্বে। ২০২২ সালের নিষেধাজ্ঞার আগে আফগানিস্তানে ২ লাখ হেক্টরেরও বেশি জমিতে পপি চাষ করা হয়েছিল।
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর জানিয়েছে, আফিম ক্ষেত ধ্বংস করার জন্য তালেবানদের প্রচেষ্টা মাঝে মাঝে কৃষকদের কাছ থেকে সহিংস প্রতিরোধেরও জন্ম দেয়। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বাদাখশানের বেশ কয়েকটি জেলায় সংঘর্ষের সময় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
কিন্তু আফগান কৃষকদের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ তালেবানের সর্বোচ্চ নেতার জারি করা নিষেধাজ্ঞা মেনে চলে। তবে দরিদ্র কৃষকরা বলছেন, বিকল্প ফসল চাষের জন্য তাদের সহায়তার অভাব রয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

