৩০ দিন ভেজানো কিশমিশ খেলে কী পরিবর্তন ঘটে শরীরে

শুক্রবার,

০৭ নভেম্বর ২০২৫,

২৩ কার্তিক ১৪৩২

শুক্রবার,

০৭ নভেম্বর ২০২৫,

২৩ কার্তিক ১৪৩২

Radio Today News

৩০ দিন ভেজানো কিশমিশ খেলে কী পরিবর্তন ঘটে শরীরে

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:২৭, ৭ নভেম্বর ২০২৫

Google News
৩০ দিন ভেজানো কিশমিশ খেলে কী পরিবর্তন ঘটে শরীরে

কিশমিশ হচ্ছে শুকনো আঙুর, যা প্রাকৃতিক মিষ্টি, ফাইবার ও পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এটি নানাভাবে খাওয়া হয় আমাদের। কেউ মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন- ক্ষীর, পায়েস, সেমাই, বিরিয়ানি এবং অন্যান্য মুখরোচক খাবারের সঙ্গে খেয়ে থাকেন। আবার কেউ হাতের মুঠোয় নিয়ে খান। তবে শুকনো অবস্থায় খাওয়ার থেকে ভিজিয়ে খাওয়া হলে এর পুষ্টিগুণ ভালোভাবে শোষণ করতে পারে শরীর।

আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞান ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসা কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাসকে ইতিবাচক হিসেবে দেখে। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম, এক মাস ভেজানো কিশমিশ খাওয়া হলে শরীরে কী কী ইতিবাচক পরিবর্তন হয়, তা তুলে ধরেছে। এ ব্যাপারে তাহলে জেনে নেয়া যাক।

ভেজানো কিশমিশ কেন শুকনোর থেকে ভালো:
কিশমিশ ভিজিয়ে খাওয়া হলে এর প্রাকৃতিক চিনির ঘনত্ব খানিকটা কমে।

হজম ভালো করা: কিশমিশের খোসায় বিদ্যমান ফাইবার এবং পুষ্টি উপাদানগুলো বরাবরই নরম হয়, এতে হজম প্রক্রিয়া দ্রুত ও মসৃণ হয়ে থাকে।

পুষ্টি শোষণ: কিশমিশ ভিজিয়ে রাখা হলে এতে থাকা ভিটামিন ও মিনারেলগুলো অল্প সময়ের মধ্যে শোষণ করতে পারে শরীর।

একমাস টানা ভেজানো কিশমিশ খেলে কী পরবর্তন হয় শরীরে:
হজম ক্ষমতার উন্নতি: কিশমিশে পর্যাপ্ত পরিমাণ ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে। প্রতিদিন সকালে ভেজানো কিশমিশ খাওয়া হলে  এটি প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে দুর্দান্ত কাজ করে। এভাবে একমাস টানা ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস বজায় থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয় এবং অন্ত্রের চলাচলও স্বাভাবিক হয়। পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: কিশমিশ হচ্ছে পটাশিয়ামের দারুণ উৎস। পটাশিয়াম রক্তনালীকে শিথিল করে এবং শরীরে সোডিয়ামের প্রভাবকে ভারসাম্যহীন রাখে, যা রক্তচাপ কমাতে কার্যকর। একমাস ভেজানো কিশমিশ খাওয়া হলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনা থাকে।

রক্তাল্পতা দূর হয়: কিশমিশে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকে। সেই সঙ্গে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স থাকে, যা লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ভেজানো কিশমিশ খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে। যাদের রক্তাল্পতার সমস্যা রয়েছে, তাদের দুর্বলতা ও ক্লান্তি কাটে।

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: কিশমিশে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি রয়েছে। যা শরীরকে ফ্রি র‌্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে দূরে রাখে। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি হয়। এতে সাধারণ সংক্রমণ বা ঠান্ডার লাগার প্রবণতা কমে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা ও লিভারের ডিটক্স: কিশমিশে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলো রক্ত পরিশোধনে সহায়ক। রক্ত পরিষ্কার থাকলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়, বলিরেখা কমে এবং লিভারের স্বাভাবিক ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সহায়তা হয়।

খাওয়ার উপায়:
প্রতিদিন রাতে ৮-১০টি কিশমিশ একটি ছোট পাত্রে পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খালি পেটে কিশমিশগুলো চিবিয়ে খান এবং ভেজানো পানিটুকু পান করুন। তাতেই কার্যকরী ফল দেখতে পাবেন।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের