জুলাই গণহত্যার মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুটি উপায়ে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে রায়ের পর সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল ঐতিহাসিক এ রায় ঘোষণা করেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
রায়ে আদালত বলেছেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
রায়ের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই বলেছি, যে দুজন আসামি পলাতক রয়েছেন, তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে রাষ্ট্র দুই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেন। একটি হচ্ছে ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত ২০১৩ সালের যে অপরাধীর বহিঃসমর্পণ চুক্তি, অর্থাৎ এক্সট্রাডিশন ট্রিটি-২০১৩। সে চুক্তি অনুযায়ী আমাদের এখানে যেহেতু মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তারা সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের বাংলাদেশ ভারত সরকারের কাছে ফেরত চাইবে এবং ভারত সরকার যদি আইনের শাসন ন্যায়বিচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয় তারা সেই আসামিদের ফেরত প্রদান করবেন।
তাদের বাংলাদেশে ফেরত আনার মাধ্যমে তাদের ওপরে যে সাজা দেওয়া হয়েছে সেটা কার্যকর করা যাবে।’
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় যে প্রক্রিয়া আছে সেটি হচ্ছে যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে। যেহেতু বাংলাদেশের একটা ট্রাইব্যুনাল থেকে উপযুক্ত আদালতের থেকে তাদের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে, তাদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে এনে সেই সাজা কার্যকর করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

