নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আমাদের নীতিমালায় নেই: মামুনুল হক

মঙ্গলবার,

১৪ অক্টোবর ২০২৫,

২৯ আশ্বিন ১৪৩২

মঙ্গলবার,

১৪ অক্টোবর ২০২৫,

২৯ আশ্বিন ১৪৩২

Radio Today News

হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন 

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আমাদের নীতিমালায় নেই: মামুনুল হক

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:২১, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

Google News
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আমাদের নীতিমালায় নেই: মামুনুল হক

জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর বক্তব্য ব্যক্তিগত এবং এর দায় সংগঠন নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। তাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আমাদের নীতিমালায় নেই। আমাদের আমির সবসময় ধর্মীয় বিষয়ে বক্তব্য দেন। তিনি যদি ওই বক্তব্য দিয়ে থাকেন, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত বক্তব্য। সংগঠন কোনো সিদ্ধান্ত নিলে সেটি সাংগঠনিকভাবে জানানো হবে।

গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল ও ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিধিমালা প্রণয়ন, পবিত্র কোরআন অবমাননার বিচার, কাঠামোগত ইসলামবিদ্বেষ ও ধর্ম অবমাননা রোধে সর্বোচ্চ কঠোর আইন প্রণয়ন এবং ৫ মে-কে ‘শাপলা গণহত্যা দিবস’ ঘোষণার দাবিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

গত ৩ অক্টোবর চট্টগ্রামে শানে রেসালত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সমালোচনা করেন বাবুনগরী। তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে মামুনুল হক বলেন, হেফাজতে ইসলাম সরাসরি কখনোই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বা রাজনৈতিক তৎপরতার সঙ্গে জড়িত নয়। বিশেষ করে দলীয় রাজনীতির সঙ্গে হেফাজতের কোনো সাংগঠনিক সম্পৃক্ততা নেই। সেই হিসেবে নির্বাচনী তৎপরতা, কোনো জোট বা অ্যালায়েন্স করা হেফাজতের মৌলিক নীতিমালার পরিপন্থি। তিনি বলেন, আমাদের সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী যদি ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত হন, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। সাংগঠনিকভাবে হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনীতির সঙ্গে নেই।

সংগঠনটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, কোনো অভিভাবক তার সন্তানকে নাচ-গান শেখানোর জন্য স্কুলে ভর্তি করে না। তাই গানের শিক্ষক নিয়োগের আইন প্রত্যাহার করতে হবে। স্কুলগুলোতে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের