
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি ঢুকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া সেন্টমার্টিন্স মহেশখালীর বিস্তীর্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত দুদিনে সাগরের ঢেউয়ের আঘাতে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দশটি পয়েন্টে ভাংগনের সৃষ্টি হয়েছে।
সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট সুগন্ধা পয়েন্ট কলাতলী সহ বেশ কয়েকটি পর্যটন স্পটে ভাংগনের সৃষ্টি হয়েছে। ঢেউয়ের তোড়ে ভেংগে গেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের অস্থায়ী স্হাপনা। ঢেউয়ের তোড়ে উপড়ে গেছে সৈকতের দৃষ্টিনন্দন প্রচুর ঝাউগাছ।
এ ছাড়া জোয়ারের আঘাতে কক্সবাজার টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডের ৪ টি স্পটে আবারো ভাংগনের সৃষ্টি হয়েছে। মেরিন ড্রাইভ রোডের টেকনাফ অংশ এবং উখিয়ার পাটুয়ারটেক এলাকায় এই ভাংগনের সৃষ্টি হয়।
নিম্নচাপের প্রভাব এবং আমাবস্যার কারণে সাগরের জোয়ারের পানি ২-৩ থেকে তিন ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পাওয়ায় কুতুবদিয়া, মহেশখালী দ্বীপ সহ উপকুলীয় এলাকায় বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।
পানিতে তলিয়ে গেছে কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইলের আনিসের ডেইল, তাবলর চর ও কাহার পাড়া, সাইট পাড়া ও বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আশপাশের অর্ধশত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, পুকুর জলাশয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। মহেশখালীর ধলঘাটা ও মাতারবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে হয়েছে।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাথোয়াই প্রু মারমা জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি প্লাবিত হয়েছে কুতুবদিয়া আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের আনিসের ডেইল, তাবালের চর, হায়দার পাড়া, কাজির পাড়াসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল। বেড়িবাঁধের বায়ু বিদ্যুৎ এলাকার ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে ঢুবে গেছে বিদ্যুৎ চলাচলের সড়ক, পুকুর, জলাশয়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নষ্ট হয়ে গেছে কৃষি জমিও। ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে।
জোয়ারের পানি ঢুকেছে টেকনাফের সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের লোকালয়ে। সেন্টমার্টিন্সের উত্তর পাড়া ও পশ্চিম প্রান্তে জোয়ারের পানির তোড়ে পর্যটন রিসোর্ট হুমকির মুখে পড়েছে বলে সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের লোকজন খুব কস্টের মধ্যে রয়েছে।
কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের গোসলে সতর্কতা জারী এবং হাঁটু পানির নীচে নামতে নিষেধ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফ গার্ড কর্মীরা।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাস কমে যাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিরুপম করা হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম