
সিপিসি-র কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, বৃহস্পতিবার) ইউননান প্রদেশের আননিংয়ে, থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মালি মরিস সানগিয়ামপোংসা, কম্বোডিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাক সোখোন, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান্ট সো, লাওসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যারন সাই, এবং ভিয়েতনামের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই থান সনের সাথে পৃথকভাবে বৈঠকে মিলিত হন।
ওয়াং ই বলেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড সীমান্ত-সংঘর্ষ অব্যাহত রাখতে চায় না; সংলাপ পুনরুদ্ধার ও সম্পর্ক উন্নয়নে দু’দেশই আন্তরিক।
ওয়াং ই আরও বলেন, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সংলাপ ও যোগাযোগ, ভুল বোঝাবুঝি নির্মূল, পুনরায় পারস্পরিক আস্থা প্রতিষ্ঠা, এবং স্বাভাবিক বিনিময় ও সহযোগিতাকে সমর্থন দেয় চীন।
এদিকে, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের ইচ্ছা অনুযায়ী, চীন দু’দেশের সীমান্ত এলাকার মাইন অপসারণের মতো কাজে সমর্থন ও সাহায্য দিতে ইচ্ছুক বলেও জানান ওয়াং ই।
মালির সাথে তার বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, গত অর্ধ শতাব্দী ধরে ‘চীন ও থাইল্যান্ড এক পরিবার’ ধারণাটি দু’দেশের জনগণের হৃদয়ে আরও গভীরভাবে প্রোথিত হয়েছে। এই নতুন ঐতিহাসিক সূচনাবিন্দুতে, চীন দুই দেশের নেতাদের অর্জিত গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য বাস্তবায়ন এবং চীন-থাইল্যান্ড অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠনে নতুন সাফল্য অর্জনের জন্য থাইল্যান্ডের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।
প্রাক সোখনের সাথে বৈঠকের সময় ওয়াং ই বলেন, চলতি বছরের এপ্রিলে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং কম্বোডিয়ায় একটি ঐতিহাসিক রাষ্ট্রীয় সফর করেন। দুই নেতা যৌথভাবে চীন-কম্বোডিয়া সম্পর্কের উন্নয়নে নেতৃত্ব দেন এবং নতুন যুগে চীন-কম্বোডিয়া সার্বক্ষণিক অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার জন্য একটি নীলনকশা তৈরি করেন।
থান্ট সোর সঙ্গে বৈঠকের সময় ওয়াং ই বলেন, চীন মিয়ানমারকে তার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও জাতীয় ঐক্য রক্ষায় সমর্থন করে এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক এজেন্ডাকে অবিচলভাবে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে।
শ্যারন সাইয়ের সাথে সাক্ষাতে ওয়াং ই বলেন, চীন দুই পার্টি এবং দেশের শীর্ষ নেতাদের উপনীত গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য বাস্তবায়নের জন্য লাওসের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক, যাতে চীন ও লাওসের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্ব নতুন প্রাণশক্তির সাথে বিকশিত হতে পারে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম