
নয়দিনের মাথায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের তুমব্রু এলাকার ওপারে আবারও ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত থেমে থেমে এ গোলাগুলির প্রকট শব্দে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বাজার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় অনেকে দোকানপাট বন্ধ করে ফেলেন। পাশে থাকা হিন্দুপাড়া, বাজারপাড়া, কোনারপাড়া, তুমব্রুর পশ্চিম পাড়াসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বলে জানান গ্রামবাসী।
কোনারপাড়া বাজার ব্যবসায়ী ও বাজার পাড়ার আবদুল আলিম, মোহাম্মদ হোসন ও ছৈয়দ নুর জানান, হঠাৎ গোলাগুলির বিকট শব্দে লোকজন ভীত হয়ে পড়েন তারা। শিশু ও নারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বেশি।
তারা বলেন, তুমব্রু বাজারের দক্ষিণে কয়েকশ গজ দক্ষিণে মিয়ানমার অংশের সীমান্ত চৌকি তুমরু রাইট ক্যাম্পে দখলে থাকা বিদ্রোহী আরকান আর্মি রয়েছে। সে চৌকিতে অপর বিদ্রোহী আরসা এ হামলা চালিয়েছে বলে তারা ধারণা করছেন। এতে উভয় পক্ষ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে।
তুমব্রু রাইট ক্যাম্প দখলে মরিয়া আরসা হামলা শুরু করলে চৌকি দখলে থাকা আরকান আর্মি পাল্টা গুলি চালায় বলে জানতে পারেন তারা। যা বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য নুর মোহাম্মদ ভুট্টো বলেন, দীর্ঘদিন পর গত ১১ আগস্ট সীমান্তে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন তিনি। নয়দিন পর একই ঘটনা তিনি শুনতে পান। তবে হতাহতের কোনো সংবাদ তিনি পাননি।
এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক এসএম খায়রুল আলাম বলেন, গোলাগুলির ঘটনা ঘটলেও এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নয়। বিজিবির নিয়মিত টহল চলমান রয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক আছে বিজিবি সদস্যরা।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম