আগামী শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

শুক্রবার,

১৪ নভেম্বর ২০২৫,

৩০ কার্তিক ১৪৩২

শুক্রবার,

১৪ নভেম্বর ২০২৫,

৩০ কার্তিক ১৪৩২

Radio Today News

আগামী শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬:২৭, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

Google News
আগামী শিক্ষাবর্ষে স্কুলে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ, ৬৩ শতাংশই কোটা

আগামী শিক্ষাবর্ষে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তিতে ক্যাচমেন্ট এরিয়ার ৪০ শতাংশ কোটা বহাল রেখেই নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। গতকাল (বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর) জারি করা নীতিমালায় বলা হয়েছে, ঢাকার সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে ক্যাচমেন্ট হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবেন এবং ওই এলাকার শিক্ষার্থীরা লটারিতে আসন পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

একইসঙ্গে আগের মতোই ভর্তিতে কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি চালু থাকবে এবং অ্যান্ট্রি শ্রেণি থেকে নবম পর্যন্ত আসন শূন্য থাকলে ভর্তি করা যাবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অ্যান্ট্রি (প্রবেশ) শ্রেণিতে এবং আসন শূন্য থাকলে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে। ‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ অনুসারে ৬ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। তবে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ বয়স ৭ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের তারিখ, সময় ও আবেদন ফি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ নির্ধারণ করবে। পুরো ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রযুক্তিগত ও প্রশাসনিক কার্যক্রম কেন্দ্রীয়ভাবে সম্পন্ন করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট বিদ্যালয়ের উভয় শিফট বেছে নিলে তা দুটি পছন্দক্রম হিসেবে গণ্য হবে। ভর্তি প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বাড়াতে শিক্ষার্থীর পছন্দের তালিকা থেকে একটি বিদ্যালয় চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করতে হবে এবং বিষয়টি সফটওয়্যারেই সংযুক্ত থাকবে।

এবারও ঢাকা মহানগরের ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে তিনটি ভিন্ন গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ের প্রধান প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবেন। ক্যাচমেন্ট এরিয়ার শিক্ষার্থীদের জন্য মোট ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।

এছাড়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য ২ শতাংশ কোটা থাকবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর–সংস্থার কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ কোটা বহাল রাখা হয়েছে। তবে এবার এই কোটাকে ভাগ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য ০.৫ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তর–সংস্থার কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য পৃথকভাবে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের