ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলের সব শিক্ষার্থীকে আজ রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে সব আবাসিক হল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, কেউ হল ছাড়ছেন, কেউ দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন। হল বন্ধ থাকায় সব দোকান ও ক্যান্টিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে প্রশাসন।
আজ রোববার সকাল ১০টায় প্রভোস্ট কমিটির এক জরুরি ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
সভায় তিনটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এগুলো হলো-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ত্যাগের সময় শিক্ষার্থীদের তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র সঙ্গে নিতে হবে; রুমের চাবি হল প্রশাসনের কাছে জমা দিতে হবে; সব হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিন পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রভোস্ট কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, সদস্য সচিব ও প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদসহ সব প্রভোস্ট উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সবাইকে বাধ্যতামূলক হল ছাড়তে বলায় বিপাকে পড়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী স্বর্ণা দাশ হল ছেড়ে বলেন, আমার টিউশন আছে। হুট করে বন্ধের সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছি। যেহেতু থাকার কোনো উপায় নেই; তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, আমার ইন্টার্নশিপের জন্য চাকরি করতে হচ্ছে। এর মধ্যে হঠাৎ ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে হল ছাড়তে বলল প্রশাসন। হল থেকে বেরিয়ে ঢাকায় আমার যাওয়ার জায়গাও নেই, এদিকে অফিস থেকেও ছুটি নেই। কোনো উপায় না পেয়ে এক বান্ধবীর বাসায় থাকতে হচ্ছে।
বিজয় একাত্তর হলের ছাত্র আব্বাস উদ্দিন বলেন, আগামী ২৭ তারিখ বিসিএস লিখিত পরীক্ষা। এখন সবাইকে বাধ্যতামূলক বের করে দেওয়া একটি প্রহসনমূলক সিদ্ধান্ত। আর সব হলে তো সমস্যা নেই, আমাদের হলো নতুন। গণহারে বের করতে হবে কেন। যদি ভবন পরীক্ষা করতে হয়, তাহলে এতদিন বন্ধ রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অনেকে টিউশনি করে পড়ার খরচ বহন করে, চাকরি করে। তারা কোথায় যাবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

