তথাকথিত 'সন্ত্রাসবাদের' অভিযোগে যুক্তরাজ্যে সম্প্রতি নিষিদ্ধ করা ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠন 'প্যালেস্টাইন অ্যাকশন'-এর সমর্থনে লন্ডনে বিক্ষোভ-সমাবেশে ধরপাকড় চালানো হয়েছে। আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, বিক্ষোভ থেকে অন্তত ৯০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ শনিবার (২২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছে, 'নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন' প্যালেস্টাইন অ্যাকশন-এর সমর্থনে আয়োজিত বিক্ষোভ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিক্ষোভ শেষ হয়ে গেছে এবং জড়িতরা এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।
বিক্ষোভকারীরা টাভিস্টক স্কোয়ারে জড়ো হয়েছিল। তারা ফিলিস্তিনি পতাকা এবং প্ল্যাকার্ড বহন করে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দেন।
কিছু ব্যানারে লেখা ছিল, 'আমি গণহত্যার বিরোধিতা করি, আমি প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সমর্থন করি।'
ব্রিটিশ অ্যাক্টিভিস্ট সংগঠন 'ডিফেন্ড আওয়ার জুরিজ' এক্স-পোস্টে বলেছে, পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার শুরু করে। তারা নীরবে প্ল্যাকার্ড ধরে রেখেছিল - এতে বলা হয়েছে, তারা গণহত্যা এবং প্যালেস্টাইন অ্যাকশন নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছে।
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, 'আজকের বিক্ষোভ লন্ডনের ট্যাভিস্টক স্কোয়ারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে - যা যুদ্ধবিরোধী স্মৃতিস্তম্ভসহ শান্তি উদ্যান হিসাবে পরিচিত।'
গত জুলাই মাসে যুক্তরাজ্য সরকার সন্ত্রাসবাদ আইনের অধীনে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন নিষিদ্ধ করেছিল। এই সিদ্ধান্তের পর থেকে প্রায় প্রতি শনিবার লন্ডনে শত শত ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারী জড়ো হন। পুলিশ প্ল্যাকার্ড ধরে রাখা বা ফিলিস্তিনকে সমর্থন দেখানোর জন্য তদের গ্রেপ্তার করে চলছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় প্রায় ৭০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গণহত্যা ও মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষের এই যুদ্ধে আরও ১ লাখ ৭০ হাজেরর বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অঞ্চলটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য গত নভেম্বরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। গাজায় যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

