সিক্স-জি প্রযুক্তির প্রথম ধাপের ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে চীন। এতে উদ্ভাবিত হয়েছে তিন শতাধিক মূল প্রযুক্তি। বেইজিংয়ে ২০২৫ সিক্স-জি ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্সে শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যোগাযোগ, সেন্সিং, কম্পিউটিং থেকে শুরু করে ইন্টেলিজেন্স—সব কিছু মিলিয়ে আগামী দশকের পরবর্তী প্রজন্মের ডিজিটাল নেটওয়ার্ক গড়ার প্রস্তুতি এখন অনেকটাই এগিয়েছে। তিন ধাপের এই পরীক্ষার প্রথমটি হবে মূল প্রযুক্তি নির্ধারণ, দ্বিতীয় ধাপে থাকছে প্রযুক্তিগত সমাধান তৈরি এবং তৃতীয় ধাপে হবে নেটওয়ার্কিং পরীক্ষা।
সম্প্রতি বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত ২০২৫ ৬জি ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্সে চীনের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী চাং ইউনমিং বলেন, চীন ইতোমধ্যে ৬জি নেটওয়ার্কের সিস্টেম ডিজাইন, আর্কিটেকচার ও মূল কাঠামো নিয়ে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
৬জি হলো আগামী দশকের নেক্সট-জেনারেশন ডিজিটাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার—যা যোগাযোগ, সেন্সিং, কম্পিউটিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সসহ বহু প্রযুক্তিকে এক প্ল্যাটফর্মে একীভূত করবে।
চীনের ৬জি ট্রায়াল তিন দফায় করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে শেষ হয়েছে মূল প্রযুক্তি যাচাইয়ের কাজ। দ্বিতীয় ধাপে বিভিন্ন বাস্তব পরিস্থিতির জন্য তৈরি করা হবে ৬জি প্রযুক্তির পরীক্ষামূলক সংস্করণ এবং তৃতীয় ধাপে হবে নেটওয়ার্ক সিস্টেমের পরীক্ষা ও বাণিজ্যিক যন্ত্রপাতি তৈরি।
২০১৯ সালে মন্ত্রণালয় গঠন করে ৬জি প্রোমোশন গ্রুপ, যেখানে অপারেটর, বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান যুক্ত আছে। এই গ্রুপ ২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের মানদণ্ড অনুযায়ী ৫৭টি পরীক্ষা করেছে—যার মধ্যে রয়েছে ইমারসিভ কমিউনিকেশন, ওয়্যারলেস ইন্টেলিজেন্স, ইন্টিগ্রেটেড সেন্সিং–কমিউনিকেশন, এয়ার–গ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক ইত্যাদি।
আন্তর্জাতিক মান সংস্থা আইএসও ইতোমধ্যে ৬জির সময়সূচি ঘোষণা করেছে।এতে বলা হয়েছে ২০২৯ সালেই আন্তর্জাতিক মান চূড়ান্ত হবে এবং ২০৩০ সালে চালু হবে বাণিজ্যিক ৬জি নেটওয়ার্ক।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

