ছবিসূত্র: ইন্টারনেট
বিশ্বে বৈদেশিক ঋণের রিজার্ভ সংরক্ষণকারী তালিকার শীর্ষ দশটি দেশের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত হলো পাকিস্তান। বিশ্বব্যাংকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনা পরবর্তী সময়েও দেশটির অর্থনীতি বৈদেশিক ঋণে রিজার্ভে বেশ শক্তিশালী অবস্থানে এসেছে। এর মাধ্যমে দেশটি ডেবিট সার্ভিস ইনিশিয়েটিভ (ডিএসএসআই) এর যোগ্যতা অর্জন করলো।
বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক ঋণ পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে সোমবার দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানানয়, যোগ্য ঋণগ্রহীতা দেশগুলো যে হারে ঋণের হিসাব জমা করছে তাতে বেশ পার্থক্য রয়েছে। সে ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঋণ গ্রহণকারী দেশও রয়েছে এর মধ্যে।
বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত আন্তর্জাতিক ঋণগ্রহণকারী যোগ্য দেশের তালিকার মধ্যে রয়েছে অ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ,ইথিওপিয়া, ঘানা, কেনিয়া, মঙ্গোলিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, উজবেকিস্তান ও জাম্বিয়া। ২০২০ অর্থ বছরে যাদের ঋণের পরিমান ছিলো মোট ৫০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা এর আগে ২০১৯ অর্থ বছরের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। তাদের ঋণ গ্রহণের এ পরিমান ডিএসএসআই’র ক্যাটাগরিতে যোগ্য দেশগুলির নেওয়া ৫৯ শতাংশের সমান।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ক্রমাগত সুসম্পর্ক স্থাপণের চেষ্টা পাকিস্তানকে বৈদেশিক ঋণের এ প্রবাহ নিশ্চিত করতে সহায়তা করেছে। দেশটিতে ৮শতাংশ বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি ক্রেডিট লাইনের একটি নতুন মাইলফলক।
২০২০ অর্থ বছরে পাকিস্তান অন্যান্য বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া ঋণ ১৫ শতাংশ বেড়ে ১ বিলিয়নে দাড়ায়। সে সময় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল যে কর্মসূচী নিয়েছিলো বানিজ্যিক ব্যাংকগুলোর দেওয়া লোক স্কিম তা অনুসরণ করে।
ব্রিটিশ এবং চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং টেলিকম খাতে অব্যাহত বিনিয়োগের কারণে পাকিস্তানে এফডিআই প্রবাহ মাঝারি ভাবে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। যা ২০১৯ সালের চেয়ে ৫ শতাংশ কম। যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ২০১১ সালে চীন ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ২০২০ সালে ৩৬ দশমিক ৩ বিলিয়নের উন্নীত করে।
রেডিওটুডে নিউজ/এমএস