বুধবার,

২৮ মে ২০২৫,

১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বুধবার,

২৮ মে ২০২৫,

১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Radio Today News

সচিবালয়ে যা হচ্ছে, দেশের জন্য অশনি সংকেত: চরমোনাই পীর 

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:৫৩, ২৬ মে ২০২৫

Google News
সচিবালয়ে যা হচ্ছে, দেশের জন্য অশনি সংকেত: চরমোনাই পীর 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে সচিবালয়ে যা হচ্ছে তাতে শঙ্কিত হওয়ার কারণ আছে। সচিবালয়ে যে ধরনের অবরোধ ও অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা দেশের জন্য অশনি সংকেত।’

সোমবার (২৬ মে) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ এবং সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বাংলাদেশ যখন একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, যখন দেশ একটি সামগ্রিক সংস্কারের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তখন সচিবালয়ে এই ধরনের অচলাবস্থা পতিত স্বৈরাচারকে সুযোগ করে দেবে।

তিনি আরও বলেন, তাই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামকে আহ্বান করছে যে, সচিবালয় ও সারা দেশের সরকারি অফিস অচল করার কর্মসূচি থেকে সরে এসে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান খুঁজে বের করুন। একই সাথে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিও আহ্বান জানাচ্ছে যে, উন্মুক্ত চিন্তায় আলোচনার মধ্যে দিয়ে এর সমাধান খুঁজতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দক্ষতা-যোগ্যতা ও জবাবদিহি রাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা ও ফলাফলমূখি চরিত্র ধারণ করতে হবে। দুঃখের সাথে বলতে হয়, বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে এগুলোর অভাব লক্ষণীয়।

তিনি আরও বলেন, একবার কোনোভাবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করলে তাকে আর কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। সরকারি দপ্তরে সেবা নিতে যাওয়া জনগণ এর ভুক্তভোগী। সে জন্য প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে যেভাবে সংশোধন আনা হয়েছে তা ইতিবাচক চিন্তা থেকেই করা।

তার মতে, তথাপিও এ ক্ষেত্রে যৌক্তিক কোনো দ্বিমত থাকলে তার জন্য আলোচনার পথ খোলা আছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির মতো করে সচিবালয় অবরুদ্ধ করা কোনো আইনসিদ্ধ পন্থা হতে পারে না। বরং এটা সরকারি চাকরির সাধারণ রীতিনীতি বহির্ভূত আচরণ যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমি সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান করব, দেশকে বিপদে ফেলে এমন কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদ সচিবালয়কে ছিয়ানব্বই সালে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ব্যবহার করেছিল। বর্তমানে দেশ একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদ ও ফ্যাসিবাদের অবশিষ্টাংশকে অপসারণ ও বিচারের কাজ চলছে। এই মুহূর্তে সচিবালয়ে যা হচ্ছে তাতে শঙ্কিত হওয়ার কারণ আছে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, যারা সচিবালয় অবরুদ্ধ করেছেন তাদের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নাই। তথাপিও পতিত ফ্যাসিবাদ সুবিধা নিতে পারে এবং গণঅভ্যুত্থানের সরকার বিপদে পরে এমন সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে হবে। কারণ, এর মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ কোনো ধরনের সুযোগ নিলে জনতা ও ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করবে না।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের