সোমবার,

১৮ আগস্ট ২০২৫,

৩ ভাদ্র ১৪৩২

সোমবার,

১৮ আগস্ট ২০২৫,

৩ ভাদ্র ১৪৩২

Radio Today News

৫৫ বছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রেকর্ড মুনাফা

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:৫১, ১৮ আগস্ট ২০২৫

Google News
৫৫ বছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রেকর্ড মুনাফা

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠার ৫৫ বছরে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জন করেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ৯৩৭ কোটি টাকা মুনাফা করে রেকর্ড গড়েছে। আজ (সোমবার, ১৮ আগস্ট) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ মুনাফা হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ৪৪০ কোটি টাকা ছিল বলে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯৭২ সালে মাত্র এক কোটি ৯০ লাখ টাকা আয় দিয়ে যাত্রা শুরু করা বিমান, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের সীমিত অবকাঠামো ও সম্পদের মধ্যে থেকে ধীরে ধীরে আজকের আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক এয়ারলাইন্সে পরিণত হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমান ১১ হাজার ৬৩১.৩৭ কোটি টাকা আয় করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিমান প্রথমবারের মতো ১০ হাজার কোটির বেশি আয়কারী কোম্পানিতে পরিণত হয়। ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৫৫ বছরের যাত্রায় বিমান মোট ২৬টি বছরে লাভ করেছে। ২০০৭ সালে করপোরেশন থেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরের পর গত ১৮ বছরে বিমানের পুঞ্জীভূত মোট মুনাফা হয়েছে ৫৮৯ কোটি টাকা যা এ সংস্থার স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদি সফলতার প্রমাণ।

বর্তমানে বিমানের বহরে রয়েছে মোট ২১টি উড়োজাহাজ। এর মধ্যে ১৯টি নিজস্ব মালিকানাধীন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমানের বহরে ২১টি উড়োজাহাজ ছিল, যার মধ্যে বর্তমানে ১৯টি নিজস্ব মালিকানাধীন উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী চারটি বোয়িং ৭৮৭-৮ এবং দুটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার। বিমানের আর একটি বড় শক্তি হলো, এর নিজস্ব বহর রক্ষণাবেক্ষণ সক্ষমতা— লাইন মেইনটেন্যান্স থেকে শুরু করে বড় ধরনের চেক পর্যন্ত সবই দেশেই সম্পন্ন করতে পারে, যা ব্যয় সাশ্রয়, দ্রুত সেবা প্রদান এবং আন্তর্জাতিক মানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নতুন ব্যবস্থাপনার দক্ষ অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, কার্যকর সম্পদ বণ্টন এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এ রেকর্ড মুনাফার মূল কারণ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিমানের কার্যক্রমে যাত্রী পরিবহন হয়েছে ৩.৪ মিলিয়ন, কার্গো পরিবহন ৪৩ হাজার ৯১৮ টন এবং কেবিন ফ্যাক্টর ৮২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। এছাড়াও ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে বিমানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ টিকিট বিক্রির রেকর্ড অর্জিত হয়েছে যা বাজারে বিমানের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ও যাত্রীদের আস্থার প্রতিফলন। জাতীয় সংবাদমাধ্যম ও এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিমানের বহর আধুনিকায়ন, লাভজনক আন্তর্জাতিক রুট সম্প্রসারণ এবং উন্নত গ্রাহক সেবা প্রদানের প্রশংসা করেছেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে নতুন ব্যবস্থাপনা দক্ষ অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ, কার্যকর সম্পদ বণ্টন এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এই বছরের রেকর্ড মুনাফায় বড় ভূমিকা রেখেছে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, বিমানের ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় রয়েছে নতুন জনপ্রিয় গন্তব্যে রুট সম্প্রসারণ, যাত্রী সেবা ও পরিচালনায় ডিজিটাল রূপান্তর এবং কার্গো সেবা শক্তিশালীকরণ। বিমানের লক্ষ্য হলো জাতীয় গৌরবকে ধারণ করে বিশ্বমানের সেবা, নির্ভরযোগ্যতা এবং সম্মানিত যাত্রীগণের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শীর্ষস্থানীয় এয়ারলাইন্সে পরিণত হওয়া।


 

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের