শুক্রবার,

২৯ মার্চ ২০২৪,

১৫ চৈত্র ১৪৩০

শুক্রবার,

২৯ মার্চ ২০২৪,

১৫ চৈত্র ১৪৩০

Radio Today News

ট্রেনে চড়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে চীন সীমান্তে- ভারতীয় রেলের উদ্যোগ

রেডিও টুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ১২ নভেম্বর ২০২২

Google News
ট্রেনে চড়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে চীন সীমান্তে- ভারতীয় রেলের উদ্যোগ

সংগৃহিত ছবি

এবার ট্রেনে চড়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত চীনের সীমান্তে। সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নয়, পরিকল্পনা আগেই করা হয়েছিল। চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল এবার রেললাইন পাতার জন্য।

অরুণাচল প্রদেশের রেল লাইন পাতার মাধ্যমে চীনের সীমানা পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ভুটানেও যাওয়া যাবে ট্রেনে করে। আর সেটা হলেই পর্যটনের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে যেতে পারে বলে মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ।

অরুণাচল প্রদেশে বেড়াতে যেতে যারা আগ্রহী এই রেললাইন তাদের জন্য বাড়তি সুবিধা এনে দিতে চলেছে। এই সুবিধা চালু হয়ে গেলে ভালুকপং থেকে তাওয়াং-এর চীন সীমান্তে যাওয়া যাবে ট্রেনে করেই। এর জন্য ইতোমধ্যে অরুণাচলের জোর কদমে চলছে চূড়ান্ত সমীক্ষার কার্যক্রম।

শুধু পর্যটনই নয়, ট্রেনের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে চীনের সীমান্তে পৌঁছানোর ব্যবস্থা হয়ে গেলে তার কৌশলগত সুবিধাও পাবে ভারত। তেরো হাজার ফুট উপরে এই ট্রেন ব্যবস্থা চালু হলে পর্যটকরা অনেক সহজে এবং অনেক অল্প সময়ে তাওয়াং যেতে পারবেন। বর্তমানে সড়কপথে ভালুকপঙ থেকে তাওয়াং এর দৈর্ঘ্য ২৮৫ কিলোমিটার যা রেলপথের দৈর্ঘ্যে হবে ১৬৬ কিলোমিটার।

সেই পথ হবে অত্যন্ত মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বিচারে। তবে টানেলের ভেতর দিয়েই হবে ৮০ শতাংশ রেলপথ। তার মধ্যে একটি সুরঙ্গেরই দৈর্ঘ্য হবে ২৯.৪৮ কিলোমিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০৪৮ ফুট উচ্চতায় তাওয়ান শুধু পর্যটন কেন্দ্রই নয়, বৌদ্ধ তীর্থও। এখানেই অবস্থিত ৩৭ কিলোমিটার লম্বা ভারত চীন সীমান্তের বুমলা পাস।

এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, শুধু অরুনাচলেই নয় উত্তর পূর্বে আরো কয়েকটি জায়গায় পরিষেবা দিতে উদ্যোগী হয়েছে রেল মাধ্যম। এছাড়া ভালুকপং থেকে তাওয়াং এবং সিলাপাথার থেকে বামে হয়ে আলং যাওয়ার পরিষেবা চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে।

এছাড়াও পরিকল্পনা রয়েছে মুরকংসেলেক থেকে পাসিঘাট যাওয়ার রেল পরিষেবা বিস্তৃত করার। অসমের ডিমা হাসাও জেলার লঙ্কা থেকে চন্দ্রনাথপুর পর্যন্ত ট্রেন চালানোর পরিকল্পনাও রয়েছে রেলের।  সেই সাথে আরো জানা গেছে, পড়শীদেশ ভুটানেও যাওয়া যাবে ট্রেনে। অসমের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফু পর্যন্ত ৫৮ কিলোমিটার রেললাইন তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

এস আর

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের