ফাইল ছবি
এখনো পর্যন্ত তীব্র শীত না পড়লেও বাতাসে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব অনুভূত হচ্ছে। ফলে এখন থেকেই শুরু হয়েছে কেমন যেন একটা আলসেমি ভাব। এসময় অল্প কাজ করেই বেশি ক্লান্ত অনুভূত হয়। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীর এবং মনেও দারুণভাবে প্রভাব ফেলে এই সময়টা। তাই খুব তাড়াতাড়ি ঘুম পেয়ে যায়, আবার সকালে বিছানা ছেড়ে উঠতেও একেবারেই ইচ্ছা করে না। দেখা যায়, সারারাত ঘুমানোর পরেও অফিসে কাজের ফাঁকে ঘুম ঘুম অনুভূতি হয়। শরীরটাও কেমন যেন ম্যাজ ম্যাজ করতে থাকে।
শীতকালীন এই সমস্যাগুলি আসলে কি কারনে হয় চলুন সেগুলো জেনে নেই।
সূর্যের আলোর অভাব
শীতকালে দিন ছোট হয়ে যায় অনেকটা। ফলে সূর্যের আলো খুব অল্প সময় পর্যন্ত বিরাজ করে। ফলে সূর্যলোকের ঘাটতি মস্তিষ্ক থেকে মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণের পরিমাণ অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে। এই হরমোনের কারণে ঘুম পায় বেশি বেশি। শীতে রাত বড় হয়ে থাকে ফলে দেখা যায়, এসময় শরীরটা যেন বেশি ঘুমাতে চাই। শীতের সময় থাকতে যতটা সম্ভব সূর্যের আলোর কাছাকাছি থাকা উচিত। তাই সকালে ঘরে রোদ ঢুকতে দেয়া উচিত।
ভিটামিন ডি- এর অভাব
ভিটামিন ডি -এর অন্যতম উৎস হলো সূর্যের আলো। তাই শরীরে ভিটামিন ডি -এর ঘাটতি মেটাতে প্রতিনিয়ত রোদ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। শীতকালে রোদের সংস্পর্শে বেশি থাকার সুযোগ না হওয়ার ফলে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা যায়। ফলে শীতকালে ক্লান্তি ভাবটা বেশি লাগে। এই জন্য পুষ্টিবিদরা শীতকালে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে শরীর তরতাজা থাকে।
অত্যাধিক পরিশ্রম
সাধারণত শীতকালে শরীর ভেতর থেকে একটু দুর্বল অনুভূত হয়। বেশি পরিশ্রম করলে কিংবা একটানা বেশি সময় ধরে কোন কাজ করলেও সহজেই হাঁপিয়ে ওঠেন অনেকেই। শারীরিক দুর্বলতার কারণে সেই সময় একটু ঘুম বেশি পাই। ক্লান্তি ভাবও বেশি লাগে। তাই শীতকালে খুব পরিশ্রমের কাজ না করাই ভালো। যতটা সম্ভব হালকা কাজ করার চেষ্টা করা উচিত। এছাড়া ভারি কোন জিনিসপত্র বহন করা থেকেও এ সময় বিরত থাকা উচিত।
ঘুমের ঘাটতি
শীতকালে সকালে ঘুম থেকে ওঠা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য একটি কাজ। কাজের প্রয়োজনের যদিও অনেককেই সকালে উঠতে হয়। জোর করে সমস্ত আলসেমি ঝেড়ে ফেলে দিয়ে একদম ভেতর থেকে নিজেকে চাঙা রাখতে হয়। পুরোটাই নিজের শরীরের বিরুদ্ধে গিয়ে করতে হয় এই সমস্ত কিছু।
তাতেই ঘাটতি হয়ে যায় ঘুমের। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে অনেক সময় আমাদের ঝিমুনি এসে থাকে। সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হলে তাই রাতে বেশিক্ষণ না জেগে থেকে, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া উচিত। এতে ঘুমের একটা ভারসাম্য বজায় থাকবে। সেই সাথে শরীর ও মনও তরতাজা থাকবে।
এস আর