সাংবিধানিকভাবে গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস হাসিনা-মুজিবের ইতিহাস: সালাহউদ্দিন

রোববার,

২৩ নভেম্বর ২০২৫,

৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

রোববার,

২৩ নভেম্বর ২০২৫,

৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

Radio Today News

সাংবিধানিকভাবে গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস হাসিনা-মুজিবের ইতিহাস: সালাহউদ্দিন

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০০:৪৫, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ০০:৫৬, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

Google News
সাংবিধানিকভাবে গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস হাসিনা-মুজিবের ইতিহাস: সালাহউদ্দিন

যারা জুলাই চেতনা নিয়ে রাজনীতি করতে চায় তারা আওয়ামী লীগের মতো ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। আজ (শনিবার, ২২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় শহীদ মীর মুগ্ধ মঞ্চে এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা চেয়েছিল বাস্তবে বাকশাল থাকবে। কিন্তু উপরে থাকবে একটি গণতন্ত্রের মুখোশ ও সাংবিধানিক একটি শাসনতন্ত্রের নমুনা। এ দেশের মানুষের পক্ষে কখনোই মুজিব এবং হাসিনা কোন ভূমিকা রাখেনি। মুজিব ভূমিকা রেখেছিল এদেশে একদলীয় স্বৈরাচার বাকশাল প্রতিষ্ঠার জন্য এবং নিজেকে একনায়ক হিসেবে ঘোষণা করার জন্য। হাসিনা সেই বাকশালের উত্তরসূরী। এটা হল বাপ বেটির মধ্যে ব্যবধান। কিন্তু প্রোডাক্ট একই।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শেকড় ভারতে উল্লেখ করে স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, তারা সেখানেই আশ্রয় নিয়েছে -যেখানে তাদের ঘরবাড়ি। তাদের শিকড় যেখানে, সেখানে আশ্রয় নিয়েছে। শেখ হাসিনা কখনোই এদেশের মানুষ ছিলেন না। তারা কখনোই এদেশে রাজনীতি করেননি। এদেশের মাটি ও মানুষের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক ছিল না।

২০০৯ সালেই হাসিনাবিরোধী আন্দোলন উৎপত্তি জানিয়ে তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে ৩৬ দিনে। এটি অনেকেই বলে থাকেন। কিন্তু এর আগে ৩৬টি রক্ত পাড়ি দিতে হয়েছে। হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের উৎপত্তি হয়েছে ২০০৯ সালে আর তার সমাপ্তি হয়েছে জুলাই এর গণঅভ্যুথানে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল স্বাধীনতার ইতিহাস।

বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল জুলাই বিপ্লবের মালিকানা দাবি করছে। যা দেশের জন্য ভালো হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাংবিধানিকভাবে গণতন্ত্র হত্যার ইতিহাস হাসিনা-মুজিবের ইতিহাস।’

শেখ হাসিনাকে কয়েক হাজার ফাঁসি দিলেও তার বিচার শেষ হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের পালিয়ে যাওয়া প্রমান করে তারা এদেশের জনগণের জন্য রাজনীতি করে না বলে জানান সালাহউদ্দীন আহমদ।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের