ন্যায়পরায়ণতা`ই হবে বিএনপির রাষ্ট্র পরিচালনার মূলমন্ত্র: তারেক রহমান

রোববার,

২৩ নভেম্বর ২০২৫,

৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

রোববার,

২৩ নভেম্বর ২০২৫,

৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

Radio Today News

ন্যায়পরায়ণতা`ই হবে বিএনপির রাষ্ট্র পরিচালনার মূলমন্ত্র: তারেক রহমান

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:১৬, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

আপডেট: ২০:১৮, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

Google News
ন্যায়পরায়ণতা`ই হবে বিএনপির রাষ্ট্র পরিচালনার মূলমন্ত্র: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন ,মহানবীর ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে মুসলমান অমুসলমান বিশ্বাসী অবিশ্বাসী কারো মধ্যেই কোনো সংশয় সন্দেহ ছিলোনা। মহানবীর সেই ন্যায়পরায়ণতার আদর্শ সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র এবং সরকার পরিচালনায় বিএনপির মূলমন্ত্র হবে ন্যায়পরায়ণতা। মহানবীর 'ন্যায়পরায়ণতা'র আদর্শে উজ্জীবিত একটি ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আগামী নির্বাচনে বিএনপি দেশের সকল সম্মানিত ইমাম- খতিব-মুয়াজ্জিন আলেম ওলামা পীর মাশায়েখদের দোয়া এবং সমর্থন চায়।

রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ইমাম ও খতিব সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা জানান তিনি।

তারেক রহমান বলেন ,আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে আল্লাহর রহমতে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিচালনার সুযোগ পেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদেরকে 'সম্মানী ভাতা' দেয়ার পরিকল্পনা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে ইনশাআল্লাহ। একইসঙ্গে ইমাম মুয়াজ্জিনদেরকে আর্থিকভাবে আরো স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে 'ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট'কে শক্তিশালী করে আরো বহুমুখী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

তারেক রহমানের পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য নিচে প্রদান করা হলো

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন ,আজকের এই সম্মেলনটি আরো আট দশটি সাধারণ রাজনৈতিক সম্মেলন কিংবা সমাবেশের মতো নয়। আজকের এই সম্মেলনে রাষ্ট্র এবং সমাজের এমন মানুষেরা উপস্থিত হয়েছেন কিংবা আমরা যারা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছি আমাদের প্রতিটি বিশ্বাসী মুসলমানের একটাই চাওয়া একটাই আকাঙ্খা একটাই প্রার্থনা।

রাব্বানা আ-তিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতান ওয়া ফিল আ-খিরাতি হাসানাতান ওয়া কিনা আজাবান-নার। হে প্রভু, আমাদেরকে ইহকাল ও পরকালে কল্যাণ দাও এবং আমাদেরকে দোজখের আগুন থেকে রক্ষা করো। আল্লাহর কাছে এটাই আমাদের প্রার্থনা।

তারেক রহমান বলেন , সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের চেয়ে ইসলাম সম্পর্কে আপনারা অবশ্যই সবচেয়ে বেশি বিশুদ্ধ জ্ঞান রাখেন।একজন বিশ্বাসী মুসলমান এবং রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ইসলাম সম্পর্কে সাধারণ মুসলমানদের যে মৌলিক জ্ঞান সেই জায়গা থেকে বলতে পারি তাওহীদ-রিসালাত-আখিরাত এই তিনটি বিষয়ে নিঃশর্ত বিশ্বাস স্থাপন ছাড়া কারো পক্ষে বিশ্বাসী মুসলমান হওয়া সম্ভব নয়। আর প্রতিটি বিশ্বাসী মুসলমানের জন্য কালেমা-নামাজ-রোজা-হজ্ব-জাকাত ইসলামের এই পাঁচটি মৌলনীতি অবশ্যই পালনীয়। এর কোনো বিকল্প নেই। আমরা দেখতে পাই ইসলামের এই পাঁচটি বিষয়ে কিন্তু বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর মধ্যে কোনো বিরোধ নেই বরং চূড়ান্ত ঐক্য রয়েছে। তবে, ব্যক্তি এবং সমাজ জীবনে এইসব বিধি বিধান বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া-পদ্ধতি নিয়ে কিংবা হীন দলীয় স্বার্থে ইসলামের রাজনৈতিক ব্যবহার নিয়ে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে মতবিরোধ কিংবা ভিন্নমত দৃশ্যমান।

তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি মনে করে আল্লাহ'র উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস এবং মহানবীর 'শান এবং মান' সমুন্নত রেখে ইসলাম নিয়ে গবেষণায় নিঃসন্দেহে কোনো বাধা নেই। তবে ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে বিরোধ কিংবা ভিন্নমত অথবা হীন দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মীয় বিধানের উদ্দেশ্যমূলক ব্যাখ্যা কখনো কখনো সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টিরও কারণ হয়ে ওঠে।

এ ক্ষেত্রে ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি মনে করে, ইসলামের বিধিবিধান নিয়ে মতবিরোধ বা ভিন্নমত যাতে রাষ্ট্র এবং সমাজে ফিতনা সৃষ্টি কিংবা বিশ্বাসী সাধারণ মুসলমানদের মধ্যেঅনৈক্য সৃষ্টির কারণ না হয় এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে নেতৃস্থানীয় ওলামা-মাশায়েখ,ইমাম-খতীবগণ যোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন।

তারেক রহমান বলেন ,ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে বিএনপি এমন একটি কল্যানমুলক সমাজ-সরকার এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থার পক্ষে যে রাষ্ট্র ও সমাজে মুসলমানগণ নিঃসংকোচে কোরান সুন্নাহ অনুযায়ী নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন। নির্ভয়ে নিরাপদে এবাদত বন্দেগী করতে পারবেন। একইভাবে অন্য ধর্মের মানুষেরাও নিরাপদে নিশ্চিন্তে যার যার ধর্ম ও সংস্কৃতি পালন করতে সক্ষম হবেন। বিএনপি কখনোই ইসলামের মূলনীতি কিংবা মৌলিক বিশ্বাসের সঙ্গে আপোষ করেনি ভবিষ্যতেও করবেনা ইনশাআল্লাহ। আপনাদের মধ্যে এখানে যারা প্রবীণ ব্যক্তিবর্গ রয়েছেন।. আপনারা নিঃসন্দেহে জানেন, পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারের দল যারা স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে নিজেদের ইচ্ছেমতো সংবিধান রচনা করেছিল সেই সংবিধানে দেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেনি।

পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সংবিধানে 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম'অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। সংবিধানে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর আস্থা এবং বিশ্বাস' অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।বর্তমানে সংবিধানে 'সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর আস্থা এবং বিশ্বাস' 'কথাটি এভাবে রাখা হয়নি। কেন এভাবে রাখা হয়নি এ প্রশ্নটি আপনাদের সামনে রেখে গেলাম।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপি বরাবরই ইসলাম এবং মুসলমানদের স্বার্থবিরোধী যে কোনো অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার। পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার' ইসলাম, মুসলমান এবং ইসলামী সংস্কৃতিকে' রাষ্ট্র এবং সমাজে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করেছিল।

আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০২৪ সালে যখন পবিত্র রামাদান মাসে হঠাৎ করেই মুসলমানদের ধর্মীয় সংস্কৃতি 'ইফতার মাহফিল' আয়োজনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিলোনা। এটি ছিল বাংলাদেশে ইসলামী মূল্যবোধ এবং সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ। সেই সময় বিএনপি এই অপতৎপরতার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল। ২০১৩ সালে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমর্থকের উপর হানাদার বাহিনীর মতো ক্র্যাকডাউন চালানো হয়েছিল। গণ হত্যার প্রতিবাদে এবং হেফাজতে ইসলামের সমর্থনে বিএনপি সারাদেশে দুইদিন হরতালসহবিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছিল। যে কোনো পেশা কিংবা চাকুরীর ক্ষেত্রে সার্টিফিকেটের গুরুত্ব বিবেচনা করে কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ডিগ্রী 'দাওরায়ে হাদিস'অর্থাৎ 'তাকমীল' সনদকে মাস্টার্স সমমানের স্বীকৃতি দেয়ার উদ্যোগ ২০০৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া সরকারের আমলেই নেয়া হয়েছিল।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশে বর্তমানে কওমি এবং আলিয়া সরকারি-বেসরকারি কিংবা নিবন্ধিত বা অনিবন্ধিত সব মিলিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের৫০ হাজারেরও বেশি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব মাদরাসায় লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছেন। দেশে সরকারি কিংবা বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সারাদেশে সবমিলিয়ে মসজিদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লাখ। এই মসজিদগুলোতে প্রায় ১৭ লক্ষ ইমাম-খতিব-মুয়াজ্জিন ধর্মীয় দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি বলেন,লাখো কোটি মসজিদ-মাদ্রাসা ইমাম-মুয়াজ্জিন-মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রীয় অগ্রগতিমূলক কার্যক্রমের বাইরে রেখে দেশে কখনোই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। এই বাস্তবতা থেকে বিএনপির আগামী দিনের কর্মসূচিতে এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সম্মিলিত ইমাম খতিব পরিষদের আজকের এই সম্মেলনেও আপনারা আলেম ওলামা-ইমাম-খতিব ও মুয়াজ্জিনদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেছেন। আপনাদের উত্থাপিত দাবিগুলোর বেশ কয়েকটি দাবি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পূরণ করার সুযোগ রয়েছে। আপনারা ইমাম-খতিব-মুয়াজ্জিনদের জন্য সার্ভিস রুল প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। আপনাদের এই এই দাবিটি অত্যন্ত যৌক্তিক। অনেক মসজিদে মসজিদ কমিটির ইচ্ছা অনিচ্ছার উপরইমাম মুয়াজ্জিনদের চাকুরী নির্ভর করে। এটা হতে পারেনা। এটিকে আমি ইমাম মুয়াজ্জিনদের বিরুদ্ধে অন্যায্য আচরণ বলেই মনে করি।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আল্লাহর রহমতে বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে 'সার্ভিস রুল প্রণয়নের'ব্যাপারে অগ্রাধিকারভিত্তিতে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ। উথাপিত অন্যান্য দাবী-দাওয়াগুলোও বাস্তবায়নের জন্যও কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে। তবে প্রতিটি দাবি বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা নির্ধারণ করে আপনারা নিজেদের উদ্যোগে এক বা একাধিক কমিটি গঠন করে প্রতিটি দাবির বিপরীতে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রণয়নের জন্য আপনাদের প্রতি বিনীত আহবান জানাই।

তিনি বলেন,বিএনপি বিশ্বাস করে সারাদেশে ইমাম-খতিব-মুয়াজ্জিনগন প্রত্যেকেই একেকজন সমাজ সংস্কারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আপনারা মানুষের নৈতিক এবং আত্মিক শুদ্ধির জন্য নিজেদের সময় ব্যয় করছেন। ধর্মীয় মূল্যবোধে উজ্জীবিত একটি নৈতিক সমাজ গঠনের জন্য এটি আপনাদের একটি প্রশংসনীয় অবদান।সুতরাং, বিএনপি মনে করে সমাজ সংস্কারকের ভূমিকা পালনকারী ইমাম-খতিব-মুয়াজ্জিনগন যারা আর্থিকভাবে পিছিয়ে রয়েছেন তাদেরকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এমন বাস্তবতায় ইমাম-মুয়াজ্জিনদের মধ্যে যারা আর্থিক টানাপোড়েনে রয়েছেন তাদেরকে প্রতি মাসে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান 'সম্মানী ভাতা' দেয়ার ব্যাপারে বিএনপির পরিকল্পনা রয়েছে।

তারেক রহমান বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে আল্লাহর রহমতে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিচালনার সুযোগ পেলে ইমাম-মুয়াজ্জিনদেরকে 'সম্মানী ভাতা' দেয়ার পরিকল্পনা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে ইনশাআল্লাহ। একইসঙ্গে ইমাম মুয়াজ্জিনদেরকে আর্থিকভাবে আরো স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে 'ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট'কে শক্তিশালী করে আরো বহুমুখী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

১৯৯৩ সালে বিএনপি সরকারের সময় দেশে প্রথমবারের মতো মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। সেটি এখনো অব্যাহত রয়েছে। এর পাশাপাশি আগামী দিনে দুর্যোগ প্রতিরোধ কার্যক্রমসহ দেশের সকল জেলা, উপজেলা এবং স্থানীয়ভিত্তিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে ইমাম-মুয়াজ্জিনদেরকে সম্পৃক্ত করার বিষয়টিও বিএনপির আগামীদিনের কর্ম-পরিকল্পনায় রয়েছে।

কর্ম জীবনে যিনি যে পেশায় নিয়োজিত হতে চান কিংবা যেই চাকুরীই করতে চান এর জন্য প্রয়োজন 'সততা-সক্ষমতা-যোগ্যতা এবং দক্ষতা'। দেশের লক্ষ লক্ষ মসজিদগুলোকে কেন্দ্র করে আরো কি ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা যায় এ ব্যাপারে আপনাদের কাছ থেকেও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং সুপারিশ আশা করি।

দীর্ঘ দেড় দশকের তাবেদারী শাসন শোষণের মাধ্যমে আরো একবার প্রমাণিত হয়েছে ঈমান-ইসলাম এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বরক্ষা করতে হলে আমাদের ঐক্যের বিকল্প নেই। সুতরাং, দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা সুসংহত করার জন্য আগামী জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্ত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, একজন বিশ্বাসী মুসলমান হিসেবে এবার আমি আমার একটি প্রত্যাশার কথা আপনাদের সামনে ব্যাক্ত করতে চাই। আমরা সবাই জানি আইয়ামে জাহেলিয়াতের সময় আমাদের মহানবীকে যারা অপছন্দ করতো তারাও কিন্তু মুহাম্মদ (সাঃ) কে 'ন্যায়পরায়ণ' হিসেবে জানতো-মানত এবং বিশ্বাস করতো।

মহানবীর 'ন্যায়পরায়ণতা' নিয়ে মুসলমান অমুসলমান বিশ্বাসী অবিশ্বাসী কারো মধ্যেই কোনো সংশয় সন্দেহ ছিলোনা। মহানবীর সেই 'ন্যায়পরায়ণতা'র আদর্শ সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র এবং সরকার পরিচালনায় বিএনপির মূলমন্ত্র হবে 'ন্যায়পরায়ণতা'।. মহানবীর 'ন্যায়পরায়ণতা'র আদর্শে উজ্জীবিত একটি ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে আগামী নির্বাচনে বিএনপি দেশের সকল সম্মানিত ইমাম- খতিব-মুয়াজ্জিন আলেম ওলামা পীর মাশায়েখদের দোয়া এবং সমর্থন চায়।

তারেক রহমান  আলেম ওলামা ইমাম মোয়াজ্জিনদের কাছে দোয়া কামনা করে বলেন,আমি আপনাদের কাছে দোআ চাই.আমার মায়ের জন্য দোআ চাই। আমার দলের নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং দেশবাসীর জন্য দোআ চাই। দেশ এবং জনগণের কল্যানে আল্লাহ যেন আমাকে প্রতিটি সৎকর্ম বাস্তবায়নের সুযোগ দেন এ জন্য আপনাদের দোআ, সমর্থন এবং সহযোগিতা চাই। এতো সুন্দর একটি সমাবেশ আয়োজনেরজন্য সম্মিলিত ইমাম-খতিব পরিষদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে আমার বক্তব্য শেষ করছি।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের