পা দিয়ে চেপে ধরে মেজর সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

রোববার,

২৩ নভেম্বর ২০২৫,

৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

রোববার,

২৩ নভেম্বর ২০২৫,

৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

Radio Today News

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়

পা দিয়ে চেপে ধরে মেজর সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

Google News
পা দিয়ে চেপে ধরে মেজর সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন প্রদীপ

কক্সবাজারের টেকনাফে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া ৩৭৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেন সাক্ষরের পর সম্প্রতি এ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। গত ২ জুন ওই রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে নিম্ন আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখা হয়েছে।

রায়ে প্রদীপ কুমার দাশকে মাস্টারমাইন্ড বা মূল পরিকল্পনাকারী উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেন, ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিনি ভিকটিম মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের বুকের বাম পাঁজরে পা দিয়ে আঘাত করেন। এতে বুকের দুটি হাড় ভেঙে যায়। এছাড়া পা দিয়ে গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন, যা প্রসিকিউশন পক্ষের সাক্ষীর সাক্ষ্যসহ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রমাণিত।’

মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন– বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন– বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

হাইকোর্টের এই রায় লিখেন বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং একমত পোষণ করেন বিচারপতি মো. সগীর হোসেন।

রায়ে বলা হয়, সাক্ষীদের সাক্ষ্য, দণ্ডপ্রাপ্তদের অপরাধ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও শক্তিশালী পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য পর্যালোচনায় প্রমাণিত যে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লিয়াকত আলী পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যার উদ্দেশে সরকারি পিস্তল দিয়ে পরপর চারটি গুলি করেন। ওই গুলিতে সিনহার মৃত্যু হয়েছে মর্মে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রায়ে আরও বলা হয়, যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নন্দ দুলাল রক্ষিত, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, মো. নুরুল আমিন, মো. আয়াজ ওরফে আয়াছ ও মো. নেজামুদ্দিনের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে ষড়যন্ত্র, সহায়তার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত। তাদের অপরাধের ধরন বিচার বিশ্লেষণ করে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় বর্ণিত মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে, যা সঠিক ও যুক্তিযুক্ত। 

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার শেষে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দেন। 

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের